Home কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া‘ভয়াবহ’ সেই রাতের বর্ণনা দিলেন...

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া‘ভয়াবহ’ সেই রাতের বর্ণনা দিলেন সেই ছাত্রী 

132

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া‘ভয়াবহ’ সেই রাতের বর্ণনা দিলেন সেই ছাত্রী

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরে ভয়াবহ সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির কাছে ওই ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী। এ সময় তাকে সঙ্গে নিয়ে নির্যাতনের স্পটগুলো ঘুরে দেখেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১২টায় ওই ছাত্রী তার বাবা, মামাসহ ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরে।

ছাত্রলীগ নেত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার পর ওই ছাত্রী ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাস ছাড়েন।

‘আমি এখন নিরাপদে আছি। তদন্ত কমিটি সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছে এবং চার-পাঁচ পেজের আমার স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। আজ আবার বাসায় ফিরে যাচ্ছি। পরবর্তীতে তদন্তের স্বার্থে আবার ডাকলে আসব। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ভুক্তভোগী ছাত্রী।

আজ তদন্ত কমিটির কাজে আমি অবশ্যই সন্তুষ্ট। আমি আশা করি, তারা সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করবে। আমি চাই এর আইনগত একটা সুষ্ঠু বিচার হোক, সবচেয়ে কঠিন বিচার হোক। যাতে এ রকম কাজ আর পুনরায় না ঘটে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে এর শিকার না হয় বলে জানান নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা আতাউর রহমান।

এদিকে গণরুমের ও হলের শিক্ষার্থীদের সূত্রে ঘটনায় জড়িত আরো তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাওয়াবিয়া। তারা তিনজনই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তারা।

মীম বলেন, ‘আমি নির্যাতনের সময় ছিলাম না। আমি আমার রুমেই ছিলাম। শুধু অন্তরা আপুর নির্দেশে ওই মেয়েকে ৩০৬ নম্বর রুম থেকে দোয়েল-১ নামক গণরুমে রেখে চলে আসি।’

বিশবিদ্যালয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি মিটিং শুরু করেছি সকাল ৯টায়। তদন্তের সাপেক্ষে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। প্রশাসন থেকে তদন্তের স্বার্থে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সরেজমিনে তদন্ত করতে হলে গিয়েছি। ঘটনাস্থলসহ চার জায়গায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীর বক্তব্য ঘন্টাব্যাপী শুনেছি। এছাড়া গণরুমের মেয়েদের বক্তব্য শুনেছি। সোমবার সকাল ১০ টায় তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের ডেকেছি। প্রক্টরিয়াল বডিকে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা প্রদানে সর্বোচ্চ নির্দেশনা দিয়েছি। সবমিলিয়ে তদন্তের কাজে অনেকদূর এগিয়েছে।

সারাদিন ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে যা যা করণীয় আমরা তাই করেছি। দুপুরে মেয়েটি তার পরিবারসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সন্ধ্যার আগে বক্তব্য প্রদান শেষে সে ও তার পরিবার নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।