Home কুষ্টিয়া দৌলতপুরে আধঘন্টা সংঘর্ষ, জানেনা পুলিশ!

দৌলতপুরে আধঘন্টা সংঘর্ষ, জানেনা পুলিশ!

606

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। বুধবার বিকালে উপজেলার তারাগুনিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারাগুনিয়া বাজার এলাকায় দু’পক্ষের কয়েকজনের সংঘর্ষ বাঁধে পরে সম্মেলন এলাকা থেকে বিএনপির আরও লোক এসে ইটপাটকেল ছুঁড়ে লাঠিসোঁটা হাতে আক্রমণ চালায় প্রতিপক্ষের ওপর। কিছুক্ষণ উভয় পক্ষের সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময় অন্তত ২৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত হয়।

দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আতিয়ার রহমান জানান, তারাগুনিয়া থানার মোড়ের দিকে বিএনপির কর্মসূচী ছিলো। অশালীন ভাষা ব্যবহার করে মিছিল করে যাচ্ছিলো বিএনপি’র কর্মী সমর্থকেরা। এসময় তারাগুনিয়া বাজারে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সমর্থনকারীরা তার প্রতিবাদ করলে গন্ডগোল শুরু হয়।

জানা গেছে, দু’পক্ষের কয়েকজনের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ ভাবে হামলা চালায়। তারাগুনিয়া বাজারের চার রাস্তার মোড়ে সংঘর্ষ চলে অন্তত আধঘন্টা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলেও হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া যায়নি।

উপজেলা বিএনপির একাধিক সুত্র সংঘর্ষের কথা নিশ্চিত করেছেন।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সংশ্লিষ্ট আসন কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লা দাবি করেন, ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসা কয়েকজন ছাত্রদল কর্মীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। জিহাদ নামে এক ছাত্রদল কর্মীর হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে, দুটি মোটরসাইকেল
ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

একদিকে সংঘর্ষ চললেও অন্যদিকে চলেছে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন। এতে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে বিএনপি দলীয় প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হোন।

দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্য আঃ কাঃ মঃ সরয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন, বিএনপির শৃঙ্খলতার সাথে শান্তিপূর্ণ দৌলতপুরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে বাঁধা নেই, কিন্তু তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আজ তাদের প্রোগ্রাম হওয়ার কথা বাচ্চু মোল্লার গরুর খামারে কিন্তু তারা তারাগুনিয়া বাজারে অশালীন কথাবার্তা বলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে। পরে সেখানে তারা ইটপাটকেল ছুঁড়ে অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে বলে জেনেছি।

তবে, এসব প্রসঙ্গ সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান। তার মতে, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি।

তথ্য রয়েছে, ওসি মজিবুর রহমান নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে পুলিশের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।